৩ জানুয়ারি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সিপিবির ঢাকা সমাবেশ থেকেও বাম প্রগতিশীল শক্তির জোট ও দলগুলোকে একমঞ্চে নিয়ে আসার তাগিদ দেওয়া হয়। সিপিবির সমাবেশের ঘোষণা অনুযায়ী, ১০ জানুয়ারি থেকে বামপন্থি জোট ও দলগুলোর সঙ্গে বৃহত্তর ঐক্য তথা জোট গঠনের আলোচনা গতি পায়। ২১ জানুয়ারি বাম গণতান্ত্রিক জোটের সঙ্গে ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চার বৈঠক হয়। আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক আলোচনা হয়েছে অন্য দল ও গণসংগঠনের সঙ্গেও। চলতি মাসে বামপন্থি এই দুই জোটের বাংলাদেশ জাসদ ও গণফোরামের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করার কথা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনায় জোট গঠন বিষয়ে ঐকমত্য হলেও নতুন জোটের নাম এখন ঠিক হয়নি। ‘নয়া যুক্তফ্রন্ট’ কিংবা ‘গণতান্ত্রিক যুক্তফ্রন্ট’ নামে জোটের যাত্রা শুরু করা যায়– এমন প্রস্তাব দিয়েছেন কোনো কোনো দলের নেতারা। তবে কেউ কেউ মনে করেন, ১৯৫৪ সালে যে ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে ‘যুক্তফ্রন্ট’ গঠিত হয়েছিল, তার সঙ্গে বর্তমান প্রেক্ষাপটের মিল নেই। জোটের নাম কী হবে, কিংবা কোন কাঠামোয় তা চলবে, সেটা সবার মতামত নিয়েই ঠিক করা হবে।
সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘আওয়ামী লীগ-বিএনপির দ্বিদলীয় মেরূকরণের বাইরে বাম গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল বিকল্প শক্তি গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার কথা আমরা অনেক আগে থেকে বলে আসছি। স্বৈরশাসনের অবসানের পর সেই উদ্যোগটাই আরও জোরদার হয়েছে। আশা করছি, এ বিষয়ে শিগগির দেশবাসীর সামনে সুনির্দিষ্ট বক্তব্য ও কর্মসূচি নিয়ে হাজির হতে পারব। জোট গঠনের পর বামপন্থিরা ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে বলে জানিয়ে প্রিন্স বলেন, বামপন্থিদের বৃহত্তর ঐক্যের জন্য এই সময়টাই জরুরি। কারণ তারা মনে করছেন, দুঃশাসন হটানোর পর এবার ব্যবস্থা বদল করতে হবে। আর সেটা একমাত্র পারবে বাম গণতান্ত্রিক শক্তি।